-
বৎসর, বছর: শুভ নববর্ষ।
-
বৃষ্টি; মেঘ: যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ।
-
অঞ্চল, এলাকা দেশ: বৎস, এই বর্ষ আমার জন্য নয়।
-
পুরাণে বর্ণিত নয়টি ভূভাগ: ১. ভারতবর্ষ। ২. কিম্পুরুষ। ৩. হরি। ৪. রম্যক। ৫. হিরণ্ময়। ৬. উত্তরকুরু। ৭. ইলাবর্ত। ৮. ভদ্রাশ্ব ও ৯. কেতুমালা।
প্রতীক্ষা আর অপেক্ষার পার্থক্য; কিস মিস, ক্যাচ মিস ও কিশমিশ; বিবাহ বনাম সাঙা
ড. মোহাম্মদ আমীন
প্রতীক্ষা আর অপেক্ষার পার্থক্য; কিস মিস, ক্যাচ মিস ও কিশমিশ; বিবাহ বনাম সাঙা
সূক্ষ্ণ পার্থক্যটি কী তা আরও বিশদ করা যায়:
“সাঙার মাঝে সাঙার কাপড় লুকিয়ে রাখে সাঙার খবর।
Leave a Comment
উচ্চারণ: মৌলিক সূত্র: ই ঈ উ ঊ; বাংলায় উচ্চারণগত দীর্ঘস্বর; বাংলা হতে দীর্ঘস্বর তুলে দিলে কী হবে
ড. মোহাম্মদ আমীন
উচ্চারণ: মৌলিক সূত্র: ই ঈ উ ঊ; বাংলায় উচ্চারণগত দীর্ঘস্বর; বাংলা হতে দীর্ঘস্বর তুলে দিলে কী হবে
বাংলা বানানে দীর্ঘস্বর: উচ্চারণগত দীর্ঘস্বর
চীন, দুর/দূর, বিনা/বীণা, শব্দজোড়ের উচ্চারণ অভিন্ন। তাই ইভ ও ঈভ, পির ও পীর, ঈশ ও ইস, নিচ ও নীচ কিংবা মুল ও মূল, কুল ও কূল প্রভৃতি শব্দে অর্থগত পার্থক্য থাকলেও উচ্চারণগত কোনো পার্থক্য নেই। বিদেশি ভাষার কোনো শব্দ বাংলায় এলে তাকে বাংলা ভাষায় বিদ্যমান বর্ণ-চিহ্ন এবং তার উচ্চারণগত বৈশিষ্ট্য দিয়ে যতটুক পারা যায় কেবল ততটুকুই অতিথি ভাষার স্বকীয়তা অক্ষুণ্ন রেখে বাংলায় প্রতিপাদন করা হয়। একভাষার উচ্চারণকে অন্য ভাষার ধ্বনি দিয়ে কখনো অভিন্নভাবে উচ্চারণ করা বা করানো ঠিক নয়। করিমকে দিয়ে জাফরের কণ্ঠ অবিকল দ্যোতিত করা সম্ভব নয়। তা করতে গেলে উচ্চারণ আরও বিকৃত হয়ে যাবে।
বাংলা হতে দীর্ঘস্বর তুলে দিলে কী হবে
বলা হয়, বাংলায় উচ্চারণগত দীর্ঘস্বর নেই। তাহলে বাংলা হতে দীর্ঘস্বর তুলে দেওয়া হয় না কেন? বাংলায় অভিধানভুক্ত শব্দের সংখ্যা প্রায় ১,৬০,০০০ (যদিও মোট শব্দ সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ)। অভিধানভুক্ত এই ১,৬০,০০০ শব্দের মধ্যে তৎসম প্রায় ২৫ ভাগ বা ৪০,০০০ এবং অর্ধ-তৎসম ৫ ভাগ বা ৮,০০০ ও তদ্ভব ৬০ ভাগ বা ৯৬,০০০।মূলত তৎসমের অর্থগত পার্থক্য দ্যোতিত করার জন্য সংস্কৃতের অনুরূপ বানান হিসেবে তৎসম শব্দের জন্য বাংলায় দীর্ঘস্বর রাখা হয়েছে।তৎসম তুলে দিলেই কেবল বাংলায় দীর্ঘস্বরের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে। অর্থাৎ, দীর্ঘস্বর তুলে দিলে তৎসম শব্দ আর থাকবে না। সেক্ষেত্রে বাংলায় ব্যবহৃত প্রায় ৪০,০০০ এবং অভিধান বহির্ভূত আরও ১০,০০০ মোট ৫০,০০০ তৎসম শব্দে সরাসরি বানান ও অর্থ বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। পরোক্ষ বিপর্যয় ঘটবে ১,০৪০০০ সংস্কৃতজাত (অর্ধ-তৎসম ও তদ্ভব) শব্দে । বাংলাদেশের বাংলায় দীর্ঘস্বর তুলে দেওয়া হলে পশ্চিমবঙ্গ তা করবে এমনটি বলা যায় না। যদি না করে তো কী হবে?
বাংলা উচ্চারণে দীর্ঘস্বরের ভূমিকা
Leave a Comment
চুপ, বাসব ভালো খুব
ড. মোহাম্মদ আমীন
Leave a Comment
কর কর করো কোরো
ড. মোহাম্মদ আমীন
.https://draminbd.com/কর-কর-করো-কোরো/
-
হস্ত, হাত: তিনি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। মানুষের দুটি কর।
-
হাতির শুঁড়: হাতি তার করে প্রায় ৫ লিটার জল রাখতে পারে।
-
কিরণ, রশ্মি, আলো: আজি এ প্রভাতে রবির কর, কেমনে পশিল প্রাণের পর (রবীন্দ্রনাথ)।
-
পদবিশেষ: তার নাম কৃষ্ণকুমার কর।
৩. -কর: তৎসম ‘কর (কৃ+অ)’ অর্থ (বিশেষণে)
-
উৎপাদক, সৃজক জনক প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ করে এমন: কল্যাণকর, মঙ্গলকর, অনিষ্টকর)।
-
স্রষ্টা, নির্মাতা: চিত্রকর চিত্র আঁকে। শালকর শার উৎপাদন করে। স্মর্তব্য, এই ‘কর’ সর্বদা সংশ্লিষ্ট শব্দের সঙ্গে সেঁটে বসে।
অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়াপদে ও-কার
Leave a Comment
চাপাবাজ: অর্থ উৎপত্তি ও স্বরূপ
ড. মোহাম্মদ আমীন
চাপাবাজ: অর্থ উৎপত্তি ও স্বরূপ
Leave a Comment
মুসলিম হারাল রাশিয়া: অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করতে গিয়ে রাশিয়া হারাল মুসলিম
Leave a Comment
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মানে ষাঁড় ইউনিভার্সিটি
প্রমিতা দাশ লাবণী
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মানে ষাঁড় ইউনিভার্সিটি
এই অগভীর নদীর তীরে সংঘটিত এই ঘটনার পর ford শব্দটি থেকে fort শব্দের উদ্ভব হয়।
Leave a Comment
মোস্তাফা জব্বার-এর বাংলা বানান: ভুল আর অসংগতির নজিরবিহীন নজির
-
বিদায় হলেন> বিদায়গ্রহণ করলেন [ প্রচলনই শব্দের অর্থ নির্ধারণ করে। ‘বিদায় হলেন’ নেতিবাচক কথা। এর অর্থ: দূর হওয়া, গলগ্রহ থেকে মুক্তি পাওয়া, আপদ দূর হওয়া। অবাঞ্ছিত কেউ বা কোনো কিছু দূরীভূত হলে বা দূরীভূত করার ক্ষেত্রে ‘বিদায় হলেন’ লেখা হয়। এটি অনেকটা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার মতো। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ৯৬৮। ]
-
সাবেক রাষ্ট্রপতি> রাষ্ট্রপতি [বর্তমান রাষ্ট্রপতি বিদায় নিয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি নন। বিদায়ের দিন তিনি ‘সাবেক’ হননি— বর্তমান ছিলেন। বিদায়-গ্রহণকারী ব্যক্তি পরদিন থেকে সাবেক হন।]
-
মোঃ আব্দুল হামিদ> মোঃ আবদুল হামিদ [রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেট (অতিরিক্ত সংখ্যা, বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮; প্রজ্ঞাপন: ২৫ শে মাঘ ১৪২৪/০৭, ফেব্রুয়ারি ২০১৮) অনুযায়ী তাঁর প্রকৃত নাম ‘মোঃ আবদুল হামিদ’। বঙ্গভবনে কার্যকালীন দেখতাম, তিনি এই নাম লিখতেন। তাঁর লেখা ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’ গ্রন্থেও লেখা হয়েছে, “মোঃ আবদুল হামিদ। ]
-
কর্মকর্তা কর্মচারীরা> কর্মকর্তা-কর্মচারী [প্রথমে লেখা হয়েছে ‘সকল স্তরের’ এটি বহুবচনবাচক পদবন্ধ। ‘কর্মকর্তা কর্মচারী’ কথাটিও বহুবচনবাচক। বাংলায় একই বাক্যে একই পদের জন্য একাধিক বহুবচনবাচক পদ পরিহার্য।]
-
তাকে> তাঁকে [ এই বিশেষণে সম্মানসূচক চন্দ্রবিন্দু সমীচীন ছিল। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী।]
-
বিদায়> বিদায়ি/বিদায়কালীন [‘বিদায়’ অশুদ্ধ নয়। তবে আলোচ্য বাক্য বিবেচনায় এখানে শব্দটির অশুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে।]
-
সম্বর্ধনা> সংবর্ধনা [ সংবর্ধন+আ= সংবর্ধনা; বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ১২৬৭]
-
বিদায় সম্বর্ধনা> বিদায়ি সংবর্ধনা/বিদায়কালীন সংবর্ধনা [‘বিদায় সংবর্ধনা’ মানে ‘সংবর্ধনা’-কে বিতাড়ন করা। এটি হাস্যকর। দেখুন: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা: ৯৬৮। আমি হলে শুদ্ধ ‘সংবর্ধনা’ লিখতাম। এখানে ‘বিদায়’ অপরিহার্য ছিল না। কারণ, অনুষ্ঠানটাই বিদায় উপলক্ষ্যে আয়োজিত।]
-
প্রদান করে> প্রদান করেন/করলেন [মানিক্রিয়া (করেন) অপরিহার্য ছিল।]
-
হাওরের> হাওড়ের [(বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান,পৃষ্ঠা: ১৩৮৭); এটি মুন্ডারি হতে আগত দেশি শব্দ।]
Leave a Comment
খারেজি মাদ্রাসা, খারিজ ও খারিজি, খারেজিন, ওয়াহাবি, মাদ্রাসা, দারুল উলুম মাদ্রাসা; আলেম বনাম জাহেল, আলেম হওয়ার শর্ত
ড. মোহাম্মদ আমীন
খারেজি মাদ্রাসা: খরেজি মাদ্রাসা কাকে বলে? আরবি ‘খারেজ’ ও ‘মাদ্রাসা’ মিলে ‘খারেজি মাদ্রাসা’ বাগ্ভঙ্গিটি গঠিত। অর্থ (বিশেষণে) সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার বহির্ভূত ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত দারুল উলুম দেওবন্দের পাঠ্যসূচি অনুসারে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
খারজি ও খারিজি: মোহাম্মদ হারুন রশিদের সংকলন সম্পাদনায় বাংলা একাডেমি হতে প্রকাশিত `বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ব্যবহৃত বিদেশি শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের ১৪১ পৃষ্ঠায় `খারিজ’ ও `খারিজি’ শব্দের যে অর্থ/সংজ্ঞার্থ প্রদান করা হয়েছে তা নিচে দেওয়া হলো।ওই গ্রন্থ বলছে: ‘খারিজ’ আরবি উৎসের শব্দ। অর্থ (বিশেষণে) অগ্রাহ্য; বাহির; পরিত্যক্ত; বাতিল (আমার মনে হয় তিনি হফমানের বইখানা পড়েননি, নয় একপেশে বলে খারিজ করেছেন— সৈয়দ মুজতবা আলী)। (বিশেষ্যে) পরিবর্তন, অগ্রাহ্যকরণ। একই গ্রন্থের একই পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘খারিজি’ আরবি উৎসের শব্দ। (বিশেষ্যে) ১. ইসলাম ও মুসলমানদের মূল ধারা থেকে যারা বেরিয়ে গিয়েছিল তাদের খারিজি বলা হতো। এরা হজরত আলি (রা.)-কে কিছুতেই সহ্য করতে পারত না; তাই তারা মূল ধারা থেকে বেরিয়ে গিয়ে হজরত আলি (রা.)-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দেয়। এ বিদ্রোহী সম্প্রদায়ের হাতেই হজরত আলি (রা.) শেষ পর্যন্ত শহিদ হন। ২. হজরত আলি (রা.)-এর বিরোধী সম্প্রদায়বিশেষ।
খারেজিন: মোহাম্মদ হারুন রশিদের সংকলন সম্পাদনায় বাংলা একাডেমি হতে প্রকাশিত `বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ব্যবহৃত বিদেশি শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের ১৪১ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে, ‘খারেজিন’ আরবি ‘খারেজিন’ হতে উদ্ভূত। অর্থ (বিশেষ্যে) মুসলিম ধর্মভ্রষ্ট প্রতিষ্ঠান; ইসলামের মূলধারা থেকে বিচ্যুত সম্প্রদায় যারা হজরত আলীকে (রা.) খলিফা বলে স্বীকার করত না (রোয়ে ‘ওজ্জা হোবল’ ইবলিশ খারেজিন নজরুল ইসলাম)।
ওয়াহাবি: ‘ওয়াহাবি’ বানানটা কি সঠিক? ‘ওয়াহাবি’ অর্থ কী? বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, ‘ওয়াহাবি’ বানান সঠিক। এটি ফারসি শব্দ। বিদেশি উৎসের শব্দের বাংলা বানানে ঈ-কার পরিহার্য। বাক্যে সাধারণত বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত ‘ওয়াহাবি’ শব্দের অর্থ: ইসলাম ধর্মের সংস্কারক আবদুল ওয়াহাবের অনুসারী। ওয়াহাবি শব্দের উচ্চারণ: ও্আহাবি।
মাদ্রাসা: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, ‘মাদ্রাসা’ হলো ইসলাম-ধর্মসংক্রান্ত বিষয় অধ্যয়নে বা অনুশীলনে গুরুত্ব দেওয়া হয় এমন শিক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি আরবি উৎসের শব্দ। উচ্চারণ /মাদ্রাসা/।
দারুল উলুম মাদ্রাসা: দারুল উলুম কথাটি আরবি। এর অর্থ— জ্ঞানালয়, জ্ঞানগৃহ, জ্ঞানাগার, যেখানে জ্ঞান দান করা হয়, শিক্ষা দেওয়া হয়। কথাটি দ্বারা সাধারণত ইসলামি ধর্মীয় শিক্ষালয় বোঝানো হয়। দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের একটি ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইসলামি শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কয়েকজন ইসলামি পণ্ডিত উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। দারুল উলুম অন্যান্য মাদ্রাসার অনুরূপ হলেও এতে বিশেষ পাঠ্যসূচি রয়েছে। সেলজুক সাম্রাজ্যের নিজামিয়া ইসলামিক বিদ্যালয়গুলো থেকে দারুল উলুম-এর উদ্ভব। বাংলাদেশে অবস্থিত দারুল উলুম নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ দারুল উলুম দেওবন্দকে অনুসরণ করে থাকে।
আলেম বনাম জাহেল: আলেম হওয়ার শর্ত: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, আরবি উৎসের আলেম শব্দের প্রধান অর্থ: ইসলাম ধর্মতত্ত্বজ্ঞ। অপ্রধান অর্থ: পণ্ডিত, বিদ্বান ব্যক্তি। এখন আলেম শব্দটি ইসলাম ধর্মতত্ত্বজ্ঞ বা ইসলাম ধর্মবিষয়ক পণ্ডিত ব্যক্তি’ কথার পরিভাষা হিসেবে আভিধানিক ও প্রায়োগিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং বহুল প্রচলিত। তাই বাংলায় আলেম বলতে মুখ্যত বা সাধারণত ইসলাম ধর্মতত্ত্বজ্ঞ বা ইসলাম ধর্মবিষয়ক জ্ঞানী/বিদ্বান ব্যক্তি বা পণ্ডিতকে প্রকাশ করে। অন্য কাউকে নয়। উৎস ভাষায় আলেম শব্দটির অর্থ যাই থাকুক বা যাই হোক না, বাংলায় এখন আলেম শব্দটি ইসলাম ধর্মতত্ত্বজ্ঞ, ইসলাম ধর্মবিষয়ক পণ্ডিত ব্যক্তি’ কথার পরিভাষা হিসেবে আভিধানিক ও প্রায়োগিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত, সুস্বীকৃত এবং বহুল প্রচলিত। উৎস ভাষায় আলেম শব্দের অর্থ কী বা কী ছিল তা বাংলায় বিবেচ্য নয়। এমন কোনো সুযোগও নেই। এরূপ অনেক শব্দের অর্থ বাংলা এসে নির্দিষ্ট রূপ ধারণ করেছে। মন্দির অর্থ ছিল গৃহ। এখন এর একমাত্র অর্থ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা গৃহ। কথাটি আলেম শব্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।